৭ ই মার্চের ভাষনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব; আন্তর্জাতিক অংগনে ও দেশে
'৭ ই মার্চের ভাষনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব; আন্তর্জাতিক অংগনে ও দেশে'
ব্রিটিশ ঐতিহাসিক JACOB F.FIELD “ WE SHALL FIGHT ON THE BEACHES” বইটি ২০১৩সনে প্রথম প্রকাশ করে। এই বইতে মানব সভ্যতায় অনুপ্রেরনা কারী ৪১ টি ভাষন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সময় কাল ৪৩১ বি সি থেকে ১৯৮৭ সাল, যা প্রায় ২৫০০ বছর। এখানে শুধু আমাদের সচরাচর পরিচিত ব্যক্তিদের নাম দেওয়া হলঃ Alexander the Great 326 BC, Saladin 1187, George Washington 1783, Napoleon Bonaparte 1805, Abraham Lincoln 1865,Vladir Lenin 1917, Emperor Haile Selassie 1936, Winston Churchill 1940, Charles de Gaulle 1940, Franklin D.Roosevelt 1941, joseph Stalin 1941, Ho Chi Minh 1945, Golda Meir 1948, Sheikh Mujibur Rahman 1971, Salvador Allende 1973, Ronald Reagan 1987 ।
জাতিসংঘের ১ টি সংস্থার নাম ইউনেসকো। এই সংস্থা সারা পৃথিবী থেকে সমগ্র মানবকূলের জন্য অনন্য সার্বজনীন বিশ্ব ঐতিহ্য সংরক্ষন করে থাকে; বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য। ৩ রকম বিশ্ব ঐতিহ্য আছে (১) সাংস্কৃতিক (২) প্রাকৃতিক (৩) উভয়ই মিশ্রিত। ৭ই মার্চের ভাষন বিশ্ব ঐতিহ্য হিসাবে গৃহীত হয় ২০১৭ সনে। ইহার পরে শেখ মুজিবের ব্যাপারে জানার আগ্রহ বিশ্ব ব্যাপী পরিলক্ষিত হয়। উনার লেখা ডায়েরী, বই আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এই বই গুলী ৮/১০ ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে এবং আরো বেশ কিছু ভাষায় প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। বাংলাদেশ সরকার ও ইউনেসকো যৌথভাবে পৃথিবী ব্যাপী শেখ মুজিবের জন্ম শত বার্ষি্কী পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে ছিল কিন্তু করোনার কারনে বাতিল করা হয়। পশ্চিমা বিশ্বের আলোচনায় দেখা যায়, ৭ ই মার্চের ভাষন Winston Churchil এর ভাষন এর চাইতে বেশী অনুপ্রেরনাকারী বা সমতূল্য । এখানে উল্লেখ্য ইউনেসকোর সংরক্ষনে সর্বমোট ৪২৭টি ভাষন অন্তর্ভূক্ত আছে।
বাংলাদেশে ৭ই মার্চের ভাষন পুরো জাতি বাংগালী সেনা কর্মকর্তা সহ সকলকে উজ্জবীত করেএবং স্বাধীনতার গ্রীন সিগনাল দেয়। ৭ই মার্চের ভাষন সরাসরি রেডিও এবং টেলিভিশনে প্রচার না করায়, কর্মকর্তা- কর্মচারীরা কর্মবিরতি করে। ৮ ই মার্চ উক্ত ভাষন প্রচারের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হয়। ২৩ শে মার্চ পাকিস্তানের প্রজাতন্ত্র দিবস। উক্ত দিবসে শেখ মুজিবের বাড়িসহ সকল স্থানে বাংলাদেশের পতাকা উড়ানো হয়; শুধু মাত্র গভর্নর ভবন এবং সেনানিবাস ছাড়া। পাকিস্তান যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসাবে এম ভী সোয়াত নামের জাহজ ভর্তি অস্ত্র নিয়ে চট্টগ্রাম পোর্টে আনা হয় ২৮ শে ফেব্রুয়ারী । শ্রমিক-জনতা জীবন দিয়ে প্রতিরোধ করায়, পুরো মার্চ মাসেই অস্ত্র খালাস করা সম্ভব হয় নাই। বাংগালী সেনারা ইয়াহিয়া সরকারে বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ;মুজিব সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে চলমান জনযুদ্ধের সাথে অংশ নেয়। যুদ্ধের গতি বৃদ্ধিপায় এবং দেশ স্বাধীন হয়।
শেখ মুজিব মৃত্যুর পরে ৭ ই মার্চের ভাষন দীর্ঘকাল নিষিদ্ধ ছিল।পুরো জাতি ভাষনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং নেতৃত্বের প্রশ্নেই একমত নয়! উনার হত্যাকারীদের বিচারের ব্যাপারে পুরো জাতি একমত নয়। এই সবই ঘটেছে শুধু মাত্র রাজনৈতিক ভিন্ন মতাবলম্বীর কারনে। দেশে ভিন্ন মত হলে কি অবস্থা হয় , শেখ মুজিব তার প্রতীক। এই অবস্থা সর্বক্ষেত্রে বিরাজমান আছে। দেশে কেউই এই পরিস্থির উর্ধে নয়! যার ফলে দেশ হয়েছে সব সম্ভবের দেশ ! জাতীয় অনৈক্যের ইস্যু গুলী বাস্তব ভিত্তিক সমাধান এবং আইনের সার্বজনীন প্রয়োগই একমাত্র সমাধান।
আমাদের সাথে যুক্ত হোনঃ
ফেসবুক - Darpone Amra - Facebook
ইউটিউব - Darpone Amra - YouTube
ব্লগার - Dapone Amra - Blogger
No comments